ইউএস এমব্যাসি বাংলাদেশের সূত্র ধরে জানা যায়, গেল বছরে অর্থাৎ ২০১৭ সালে ৭১৪৩ জন বাংলাদেশী স্টুডেন্ট আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা অর্থাৎ F1 ভিসা নিয়ে সে দেশে যাওয়ার মাধ্যমে নতুন এক মাইলফলক স্থাপন করে আমেরিকায় পড়তে যাওয়া শীর্ষ ২৫টি তালিকায় স্থান করে নেয়।
অন্যদিকে, ২০১৬-২০১৭ সালে ৪৩১৯ জন গ্র্যাজুয়েট লেভেলে এবং ১৮১৬ জন আন্দারগ্রেজুয়েট লেভেলে ভিসা নিয়ে আমেরিকায় পড়তে যায়। অন্যদিকে, একই সময় আমেরিকা থেকে বাংলাদেশে আসা স্টুডেন্টের সংখ্যা উল্লেখ্যযোগ্য পরিমাণ হ্রাস পেয়ে আগের বছরের ৮১ জন থেকে নেমে সংখ্যাটি দাঁড়ায় ২৭ জনে।
ইউরোপে পড়তে আসা বাংলাদেশী স্টুডেন্টরা যত সহজেই এসব দেশ থেকে ইউএসএ, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় স্টুডেন্ট ভিসায় চলে যেতে সক্ষম সে সুযোগ কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থান করা স্টুডেন্টদের পক্ষে সম্ভব হয় না, তথাপি ইউরোপে অবস্থান করা এক উল্লেখ্যযোগ্য স্টুডেন্টকে পোল্যান্ডের ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট, ইটালি বা ফ্রান্সের কাগজ কিংবা পর্তুগালের পারমিশনের পেছনের ঘুরতে দেখা যায়।
আমার দীর্ঘ দিনের অভিজ্ঞতা থেকে সবার প্রতি উপদেশ থাকবে পোল্যান্ডের ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট, ইটালি বা ফ্রান্সের কাগজ কিংবা পর্তুগালের পারমিশনের পেছনের ঘুর ঘুর না করে ইউরোপে আপনি যে দেশেই পড়াশোনা করেন না কেন এ দেশগুলোকে ট্রানজিট হিসাবে ব্যাবহার করে ইউএসএ, কানাডা কিংবা অস্ট্রেলিয়াকে আপনার ভবিষ্যৎ গন্তব্য হিসাবে বেছে নেন, অন্তত পড়াশোনা শেষে আপনি ঐ দেশে প্রফেশনাল জব খুঁজে নিতে সমর্থ হবেন যা ইউরোপে ভাষাগত কারণে বলা যায় একেবারে অসম্ভব।
- মোহাম্মদ ফয়সাল
কোপেনহেগেন বাংলাবার্তা, কোপেনহেগেন ।
Leave a comment